আপনি কি জানেন একটি ওয়েবসাইট গুগলে র্যাংক করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী? হ্যাঁ, সেটি হলো অন পেজ এসইও। আমি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, যারা শুধু অন পেজ এসইও পারফেক্টলি করতে পারে তারা ব্যাকলিংক ছাড়াই গুগলের প্রথম পেজে চলে আসতে পারে।
২০২৫ সালে এসে এসইও এর নিয়ম অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আগে মানুষ মনে করত শুধু কীওয়ার্ড বসিয়ে দিলেই র্যাংক হয়ে যাবে। কিন্তু এখন বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন। গুগলের এআই এখন এতটাই স্মার্ট যে সে বুঝতে পারে কোন কনটেন্ট সত্যিই ভালো আর কোনটি শুধু কীওয়ার্ড দিয়ে ভরা।
এই গাইডে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব অন পেজ এসইও এর প্রতিটি খুঁটিনাটি। আপনি যদি একজন নতুন ব্লগার হন বা আপনার ওয়েবসাইটের র্যাংক বাড়াতে চান, তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য একটি সম্পূর্ণ রোডম্যাপ হতে চলেছে।
চলুন শুরু করা যাক!
অন পেজ এসইও কি এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
অন পেজ এসইও এর সংজ্ঞা ও মূল ধারণা
অন পেজ এসইও বলতে আমরা বুঝি আপনার ওয়েবসাইটের ভিতরে যেসব কাজ করা হয় যাতে গুগল আপনার সাইটকে ভালো র্যাংক দেয়। এটি মূলত আপনার কনটেন্ট এবং HTML সোর্স কোডকে অপটিমাইজ করার একটি প্রক্রিয়া।
ভাবুন তো, আপনি একটি দোকান খুলেছেন। দোকানের ভিতরের সাজসজ্জা, পণ্যের মান, গ্রাহক সেবা – এসব যদি ভালো না হয় তাহলে বাইরে যত বিজ্ঞাপনই দেন না কেন, কাস্টমাররা ফিরে আসবে না। ঠিক একইভাবে অন পেজ এসইও হলো আপনার ওয়েবসাইটের ভিতরের সবকিছু ঠিকঠাক করা।
অন পেজ এসইও এর মধ্যে রয়েছে – আপনার কনটেন্টের কোয়ালিটি, কীওয়ার্ড ব্যবহার, টাইটেল ট্যাগ, মেটা ডেসক্রিপশন, URL স্ট্রাকচার, ইমেজ অপটিমাইজেশন, ইন্টারনাল লিংকিং এবং আরো অনেক কিছু। প্রতিটি এলিমেন্ট একসাথে কাজ করে আপনার পেজকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে।
গুগল র্যাংকিং এ অন পেজ এসইও এর ভূমিকা
গুগলের মূল লক্ষ্য হলো তার ইউজারদের সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট দেখানো। আর তাই গুগল এমন ওয়েবসাইটগুলোকে র্যাংক দেয় যেগুলো সত্যিই মানুষের কাজে লাগে।
২০২৫ সালের হিসাব অনুযায়ী, গুগল তার র্যাংকিং নির্ধারণে ২০০+ ফ্যাক্টর ব্যবহার করে। এর মধ্যে অন পেজ এসইও সংক্রান্ত ফ্যাক্টরগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন:
- আপনার কনটেন্ট কি ইউজারের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে?
- পেজ লোডিং স্পিড কেমন?
- মোবাইলে কেমন দেখাচ্ছে?
- কনটেন্ট কি ইউনিক এবং ভ্যালুয়েবল?
- ইউজার এক্সপেরিয়েন্স কেমন?
গুগলের BERT এবং MUM আপডেটের পর থেকে কনটেন্ট কোয়ালিটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এখন শুধু কীওয়ার্ড ম্যাচিং দিয়ে কাজ হয় না, গুগল আপনার কনটেন্টের প্রসঙ্গ (context) এবং উদ্দেশ্য (intent) বুঝতে পারে।
আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমি দেখেছি শুধু অন পেজ এসইও ভালোভাবে করে অনেকে প্রথম পেজে চলে এসেছে। কিন্তু অন পেজ এসইও না করে শুধু ব্যাকলিংক দিয়ে কেউ টিকে থাকতে পারে নি।
On-Page SEO করার গাইডলাইন
অন পেজ এসইও শুরু করার আগে যা জানা জরুরি
অন পেজ এসইও শুরু করার আগে আপনাকে কিছু বেসিক বিষয় পরিষ্কার থাকতে হবে। এগুলো না জানলে পরবর্তী কাজগুলো করতে সমস্যা হবে।
প্রথমত, আপনার নিশ (Niche) সম্পর্কে জানুন। আপনি কোন টপিক নিয়ে লিখছেন? সেই টপিকে মানুষ কী খুঁজছে? তাদের সমস্যা কী? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা থাকলে সঠিক কনটেন্ট তৈরি করা সহজ হবে।
দ্বিতীয়ত, প্রতিযোগীদের বিশ্লেষণ করুন। আপনার টার্গেট কীওয়ার্ডে কারা র্যাংক করছে? তারা কেমন কনটেন্ট লিখছে? তাদের পেজ স্পিড কেমন? এসব জানলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনাকে কতটা ভালো করতে হবে।
তৃতীয়ত, ইউজার ইন্টেন্ট বুঝুন। মানুষ যখন কিছু সার্চ করে, তারা কী পেতে চায়? তথ্য চায় নাকি কিছু কিনতে চায়? নাকি কোনো সেবা খুঁজছে? এই ইন্টেন্ট বুঝে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।
চতুর্থত, টেকনিক্যাল সেটআপ ঠিক রাখুন। আপনার ওয়েবসাইটে SSL সার্টিফিকেট আছে কিনা? সাইট স্পিড কেমন? মোবাইল ফ্রেন্ডলি কিনা? এসব বেসিক জিনিস ঠিক না থাকলে অন পেজ এসইও করেও লাভ হবে না।
সফল অন পেজ এসইও এর মূল উপাদান
একটি সফল অন পেজ এসইও স্ট্র্যাটেজিতে মূলত পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে:

স্তম্ভ ১: হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কনটেন্ট যদি ভালো না হয়, বাকি সব এসইও বৃথা। কনটেন্ট হতে হবে ইনফরমেটিভ, ইউজফুল এবং ইউনিক। মানুষ পড়ে যেন তাদের সমস্যার সমাধান পায়।
স্তম্ভ ২: কীওয়ার্ড স্ট্র্যাটেজি সঠিক কীওয়ার্ড খুঁজে বের করা এবং সেগুলো ন্যাচারালি কনটেন্টে ব্যবহার করা। কীওয়ার্ড স্টাফিং নয়, স্মার্ট কীওয়ার্ড প্লেসমেন্ট দরকার।
স্তম্ভ ৩: টেকনিক্যাল অপটিমাইজেশন পেজ স্পিড, মোবাইল অপটিমাইজেশন, SSL, সাইট স্ট্রাকচার – এসব টেকনিক্যাল বিষয় ঠিক রাখতে হবে।
স্তম্ভ ৪: ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ভিজিটররা আপনার সাইটে এসে ভালো অভিজ্ঞতা পাচ্ছে কিনা? সহজে তারা যা খুঁজছে তা পাচ্ছে কিনা? নেভিগেশন সহজ কিনা?
স্তম্ভ ৫: ডেটা মার্কআপ স্ট্রাকচার্ড ডেটা এবং স্কিমা মার্কআপ ব্যবহার করে গুগলকে আপনার কনটেন্ট আরো ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করা।
কীওয়ার্ড রিসার্চ এবং কনটেন্ট অপ্টিমাইজেশন কৌশল
সঠিক কীওয়ার্ড নির্বাচনের কৌশল ও টুলস
কীওয়ার্ড রিসার্চ হলো অন পেজ এসইও এর ফাউন্ডেশন। ভুল কীওয়ার্ড টার্গেট করলে যত ভালো কনটেন্টই লিখুন না কেন, ট্রাফিক পাবেন না।
কীওয়ার্ড রিসার্চ করার স্মার্ট পদ্ধতি:
১. Seed Keyword: আপনার টপিকের মূল কীওয়ার্ড (যেমন: “ব্লগিং”) খুঁজে বের করুন।
২. Google-এর সাহায্য নিন: Seed Keyword লিখে Google-এ সার্চ করুন এবং নিচে স্ক্রল করে “People also ask” ও “Related searches” থেকে কীওয়ার্ড আইডিয়া নিন।
কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস যা আমি ব্যবহার করি:
| টুলসের নাম | বিশেষত্ব |
| Google Keyword Planner | সম্পূর্ণ ফ্রি, সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। (সার্চ ভলিউম, কম্পিটিশন) |
| Ubersuggest | ফ্রি ভার্সনেও ভালো ফিচার, কীওয়ার্ড ও কম্পিটিটর অ্যানালাইসিস। |
| AnswerThePublic | প্রশ্ন-ভিত্তিক কীওয়ার্ড খুঁজতে সেরা (মানুষ কী প্রশ্ন করছে)। |
| Google Trends | কীওয়ার্ডের ট্রেন্ড ও সিজনাল পরিবর্তন বুঝতে সহায়ক। |
| Ahrefs/SEMrush | প্রফেশনাল পেইড টুলস, প্রতিযোগীর ডেটা দেখতে কার্যকর। |
কীওয়ার্ড সিলেক্ট করার সময় যা মাথায় রাখবেন:
সার্চ ভলিউম দেখুন। খুব কম সার্চ ভলিউম হলে ট্রাফিক পাবেন না। আবার খুব বেশি হলে কম্পিটিশন বেশি হবে। মিডিয়াম সার্চ ভলিউম (৫০০-৫০০০) বেস্ট শুরুর জন্য।
কীওয়ার্ড ডিফিকাল্টি চেক করুন। ০-৩০ সহজ, ৩০-৫০ মিডিয়াম, ৫০+ কঠিন। নতুন সাইটের জন্য সহজ কীওয়ার্ড টার্গেট করুন।
লং-টেইল কীওয়ার্ড বেছে নিন। “এসইও” এর চেয়ে “ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের অন পেজ এসইও” বেশি স্পেসিফিক এবং র্যাংক করা সহজ।
প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি কীওয়ার্ড বসানোর নিয়ম
কীওয়ার্ড পাওয়ার পর সেগুলো কোথায় কোথায় বসাবেন সেটা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাইমারি কীওয়ার্ড প্লেসমেন্ট:
টাইটেল ট্যাগের একদম শুরুতে বা প্রথম ৬০ ক্যারেক্টারের মধ্যে রাখুন। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। গুগল টাইটেলকে সবচেয়ে বেশি ওজন দেয়।
URL এ অবশ্যই রাখুন। ছোট এবং ক্লিন URL তৈরি করুন শুধু মেইন কীওয়ার্ড দিয়ে।
প্রথম ১০০-১৫০ শব্দের মধ্যে প্রাইমারি কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন। গুগল প্রথম প্যারাগ্রাফকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
H1 হেডিংয়ে রাখুন (সাধারণত এটা টাইটেলই হয়)। অন্তত একটি H2 সাবহেডিংয়ে রাখুন।
মেটা ডেসক্রিপশনে ন্যাচারালি ব্যবহার করুন। মানুষ যখন সার্চ করে তখন গুগল এটা বোল্ড করে দেখায়।
শেষ প্যারাগ্রাফে একবার রাখুন। এটি কনক্লুশনে ভালো কাজ করে।
সেকেন্ডারি কীওয়ার্ড প্লেসমেন্ট:
সেকেন্ডারি কীওয়ার্ডগুলো হলো আপনার মেইন কীওয়ার্ডের ভ্যারিয়েশন বা রিলেটেড টার্মস। এগুলো কনটেন্টকে আরো কমপ্রিহেন্সিভ করে।
H2 এবং H3 সাবহেডিংগুলোতে ছড়িয়ে দিন। প্রতিটি সেকশনে আলাদা সেকেন্ডারি কীওয়ার্ড ফোকাস করুন।
কনটেন্টের বডিতে ন্যাচারালি ব্যবহার করুন। জোর করে ঢোকানোর দরকার নেই, প্রাকৃতিকভাবে আসবে যদি টপিক কভার করেন ভালোভাবে।
ইমেজ Alt Text এ ব্যবহার করুন। প্রতিটি ইমেজে আলাদা সেকেন্ডারি কীওয়ার্ড দিন।
ইন্টারনাল লিংকের অ্যাঙ্কর টেক্সটে ব্যবহার করুন। এতে অন্য পেজও র্যাংক করতে সাহায্য করবে।
SEO Friendly কনটেন্ট লেখার টেকনিক
কনটেন্ট হলো অন পেজ এসইও এর হার্ট। কীওয়ার্ড ঠিক থাকলেও যদি কনটেন্ট খারাপ হয় তাহলে কিছুই হবে না।

একটি SEO Friendly কনটেন্ট তৈরির ব্লুপ্রিন্ট:
ইউনিকনেস মাস্ট: আপনার কনটেন্ট ১০০% ইউনিক হতে হবে। কোথাও থেকে কপি করা চলবে না। Copyscape দিয়ে চেক করতে পারেন।
ভ্যালু ফার্স্ট: মানুষ কেন আপনার পোস্ট পড়বে? কী ভ্যালু দিচ্ছেন? সমস্যার সমাধান দিন, নতুন কিছু শেখান, বা এমন তথ্য দিন যা সহজে পাওয়া যায় না।
ডেপথ আর ব্রেডথ: শুধু সারফেস লেভেলে থাকবেন না। টপিক গভীরভাবে কভার করুন। একই সাথে সম্পর্কিত টপিকগুলোও কভার করুন।
স্ট্রাকচার্ড ফরম্যাট: আপনার কনটেন্ট এমন হতে হবে যাতে কেউ স্ক্যান করে পড়তে পারে। সবাই পুরো পোস্ট পড়ে না, অনেকে শুধু যেটা দরকার সেটা খুঁজে নেয়।
ভিজ্যুয়াল এলিমেন্ট: শুধু টেক্সট নয়, ইমেজ, ইনফোগ্রাফিক, চার্ট, টেবিল ব্যবহার করুন। এতে পড়তে ভালো লাগে এবং বোঝা সহজ হয়।
প্র্যাক্টিক্যাল এক্সাম্পল: যা বলছেন তার উদাহরণ দিন। মানুষ উদাহরণ দিয়ে সবচেয়ে ভালো বোঝে।
E-E-A-T মেইনটেইন করুন: Experience, Expertise, Authoritativeness, Trustworthiness – গুগল এখন এগুলো দেখে। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন, তথ্যসূত্র দিন।
কীওয়ার্ড ডেনসিটি ও LSI কীওয়ার্ড ব্যবহার
কীওয়ার্ড ডেনসিটি নিয়ে সত্য কথা:
অনেকে মনে করেন বেশি বেশি কীওয়ার্ড বসালে র্যাংক ভালো হবে। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ২০২৫ সালে এসে কীওয়ার্ড ডেনসিটি তেমন কোনো বিষয় না।
আদর্শ কীওয়ার্ড ডেনসিটি হলো ১-২%। মানে ১০০০ শব্দের পোস্টে ১০-২০ বার মেইন কীওয়ার্ড। কিন্তু এটা কোনো হার্ড রুল না।
আসলে কীওয়ার্ড ডেনসিটির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ন্যাচারাল ইউজ। আপনি যদি ন্যাচারালি লিখেন এবং টপিক ভালোভাবে কভার করেন, তাহলে কীওয়ার্ড এমনিতেই সঠিক জায়গায় চলে আসবে।
LSI কীওয়ার্ড – দ্য সিক্রেট ওয়েপন:
LSI মানে হলো Latent Semantic Indexing। সহজ ভাষায়, এগুলো হলো আপনার মেইন কীওয়ার্ডের সাথে সম্পর্কিত শব্দ।
ধরুন আপনার মেইন কীওয়ার্ড “মোবাইল ফোন”। তাহলে LSI কীওয়ার্ড হতে পারে – স্মার্টফোন, অ্যান্ড্রয়েড, আইফোন, টাচস্ক্রিন, অ্যাপ, চার্জিং ইত্যাদি।
গুগল এখন শুধু এক্সাক্ট কীওয়ার্ড ম্যাচ দেখে না, সে দেখে পুরো প্রসঙ্গ। আপনি যদি LSI কীওয়ার্ড ব্যবহার করেন, গুগল বুঝতে পারে আপনার কনটেন্ট কমপ্রিহেন্সিভ।
LSI কীওয়ার্ড কীভাবে খুঁজবেন?
গুগলে আপনার মেইন কীওয়ার্ড সার্চ করুন। নিচে “Related searches” দেখুন। ওখানে যেগুলো দেখাচ্ছে সেগুলোই LSI কীওয়ার্ড।
LSIGraph.com নামে একটি ফ্রি টুল আছে। এখানে আপনার কীওয়ার্ড দিলে LSI কীওয়ার্ড লিস্ট দেখাবে।
Google Keyword Planner এ “Get search volume and forecasts” অপশনে গেলে রিলেটেড কীওয়ার্ড পাবেন।
মেটা ট্যাগ, টাইটেল এবং ডেস্ক্রিপশন অপ্টিমাইজেশন
Meta Title লেখার সঠিক নিয়ম ও ক্যারেক্টার লিমিট
আপনার টাইটেল ট্যাগ হলো সার্চ রেজাল্টে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলিমেন্ট। মানুষ প্রথমে টাইটেল দেখেই সিদ্ধান্ত নেয় ক্লিক করবে কি না।
পারফেক্ট টাইটেল ট্যাগ তৈরির ফর্মুলা:
প্রথমত, দৈর্ঘ্যের দিকে খেয়াল রাখুন। গুগল ডেস্কটপে ৬০ ক্যারেক্টার এবং মোবাইলে ৫০-৫৫ ক্যারেক্টার দেখায়। এর বেশি হলে কেটে যায়।
মেইন কীওয়ার্ড যতটা সম্ভব বামদিকে রাখুন। গুগল বামদিকের শব্দগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
নাম্বার বা পরিসংখ্যান ব্যবহার করুন। “৭ টি উপায়”, “২০২৫ সালের গাইড” – এমন টাইটেল বেশি ক্লিক পায়।
পাওয়ার ওয়ার্ড যোগ করুন। “সম্পূর্ণ”, “সেরা”, “প্রমাণিত”, “চূড়ান্ত” – এই শব্দগুলো টাইটেলকে শক্তিশালী করে।
খারাপ টাইটেল এর উদাহরণ: “এসইও | DigitalCrop” “একটি ব্লগ পোস্ট এসইও সম্পর্কে”
ভালো টাইটেল এর উদাহরণ: “অন পেজ এসইও গাইড: ৭টি ধাপে সম্পূর্ণ অপটিমাইজেশন ২০২৫” “On-Page SEO কী? সম্পূর্ণ বাংলা টিউটোরিয়াল [২০২৫ আপডেট]”
টাইটেলে ব্র্যান্ড নেম যোগ করবেন কি না? যদি আপনার ব্র্যান্ড ইতিমধ্যে পরিচিত হয়, তাহলে যোগ করতে পারেন। নতুন ব্লগের জন্য প্রয়োজন নেই, জায়গা অপচয় হবে।
আকর্ষণীয় Meta Description তৈরির কৌশল
মেটা ডেসক্রিপশন সরাসরি র্যাংকিং ফ্যাক্টর না, কিন্তু এটি আপনার CTR বাড়ায়। আর ভালো CTR মানে ভালো র্যাংক।
মেটা ডেসক্রিপশন লেখার আর্ট:
দৈর্ঘ্য ১৫৫-১৬০ ক্যারেক্টারের মধ্যে রাখুন। মোবাইলে ১২০ ক্যারেক্টার দেখায়, তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রথমে রাখুন।
প্রথম বাক্যেই বলে দিন পোস্টে কী আছে। মানুষের সময় নেই পুরো ডেসক্রিপশন পড়ার।
মেইন কীওয়ার্ড অবশ্যই রাখুন। গুগল সার্চ রেজাল্টে এটা বোল্ড করে দেখায়, যা চোখে পড়ে।
একটা ক্লিয়ার কল-টু-অ্যাকশন দিন। “জানুন”, “শিখুন”, “দেখুন”, “আবিষ্কার করুন” – এমন শব্দ ব্যবহার করুন।
ইমোজি ব্যবহার করতে পারেন (পরিমিত)। তবে সব ক্ষেত্রে উপযুক্ত নয়, টপিক বুঝে করুন।
দুর্বল মেটা ডেসক্রিপশন: “এই পোস্টে অন পেজ এসইও নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমরা আশা করি এটি আপনার কাজে লাগবে।”
শক্তিশালী মেটা ডেসক্রিপশন: “অন পেজ এসইও কী এবং কীভাবে করবেন? ২০২৫ সালের সম্পূর্ণ গাইড – কীওয়ার্ড রিসার্চ, টেকনিক্যাল অপটিমাইজেশন, এবং র্যাংকিং টিপস। আজই শুরু করুন!”

URL, হেডার ট্যাগ এবং ইন্টারনাল লিংকিং স্ট্র্যাটেজি
SEO Friendly URL স্ট্রাকচার তৈরির নিয়ম
URL হলো আপনার পেজের ঠিকানা। এটি সহজ এবং পরিষ্কার হওয়া জরুরি।
পারফেক্ট URL স্ট্রাকচার কেমন হওয়া উচিত?
সংক্ষিপ্ত রাখুন: দীর্ঘ URL দেখতে খারাপ লাগে এবং শেয়ার করতে সমস্যা হয়। ৩-৫ শব্দের মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন।
কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করুন: URL এ আপনার মেইন কীওয়ার্ড থাকা মাস্ট। এতে ইউজার এবং গুগল উভয়ই বুঝতে পারে পেজ কী নিয়ে।
হাইফেন ব্যবহার করুন: শব্দ আলাদা করতে হাইফেন (-) ব্যবহার করুন। আন্ডারস্কোর (_) বা স্পেস ব্যবহার করবেন না।
লোয়ারকেস ব্যবহার করুন: সব সময় ছোট হাতের অক্ষর ব্যবহার করুন। কিছু সার্ভারে uppercase আর lowercase আলাদা URL হিসেবে গণ্য হয়।
স্টপ ওয়ার্ড বাদ দিন: “এর”, “একটি”, “সেই”, “এবং” – এই ধরনের শব্দ URL থেকে বাদ দিন।
তারিখ এড়িয়ে চলুন: URL এ তারিখ বা বছর না রাখাই ভালো। পরে আপডেট করলে URL পুরনো মনে হবে।
ক্যাটাগরি সীমিত রাখুন: খুব বেশি সাবফোল্ডার তৈরি করবেন না।
খারাপ: digital-crop.com/blog/category/seo/on-page/2025/november/post-title ভালো: digital-crop.com/on-page-seo-guide
H1, H2, H3 হেডার ট্যাগের সঠিক ব্যবহার
হেডার ট্যাগ আপনার কনটেন্টকে সংগঠিত করে এবং গুগলকে কনটেন্ট স্ট্রাকচার বুঝতে সাহায্য করে।
হেডার ট্যাগের গোল্ডেন রুলস:
H1 – শুধুমাত্র একটি: প্রতি পেজে শুধু একটি H1 ব্যবহার করুন। এটি আপনার মূল টাইটেল। সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট কীওয়ার্ড এখানে থাকবে।
H2 – মূল সেকশন: H2 হলো আপনার কনটেন্টের মূল বিভাগ। একাধিক H2 ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিটি H2 একটি নতুন টপিক শুরু করে।
H3 – সাব-সেকশন: H2 এর নিচে যদি আরো বিস্তারিত আলোচনা করতে হয় তাহলে H3 ব্যবহার করুন।
H4, H5, H6 – কদাচিৎ: এগুলো খুব কম ব্যবহার হয়। খুব টেকনিক্যাল বা লম্বা আর্টিকেল ছাড়া দরকার পড়ে না।
হেডার ট্যাগ অপটিমাইজেশন টিপস:
প্রতিটি হেডিং ডেসক্রিপটিভ হতে হবে। শুধু “ভূমিকা” না লিখে “অন পেজ এসইও এর ভূমিকা” লিখুন।
হেডিংয়ে কীওয়ার্ড রাখুন কিন্তু জোর করে নয়। ন্যাচারালি যেভাবে মানায় সেভাবে।
হায়ারার্কি মেইনটেইন করুন। H1 এর পর সরাসরি H3 ব্যবহার করবেন না, আগে H2 থাকতে হবে।
হেডিং দিয়ে কনটেন্ট স্ক্যানেবল করুন। মানুষ যেন শুধু হেডিং পড়েই মূল পয়েন্টগুলো বুঝে যায়।
কার্যকর ইন্টারনাল লিংকিং স্ট্র্যাটেজি
ইন্টারনাল লিংকিং হলো আপনার সাইটের একটি পেজ থেকে আরেকটি পেজে লিংক দেওয়া। এটি SEO এর সবচেয়ে আন্ডাররেটেড কৌশল।
ইন্টারনাল লিংকিং কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
এটি পেজ অথরিটি ট্রান্সফার করে। আপনার হোমপেজ সবচেয়ে বেশি অথরিটি পায়। সেখান থেকে লিংক দিলে অন্য পেজেও অথরিটি যায়।
গুগল ক্রলিং সহজ হয়। গুগলবট লিংক ফলো করে নতুন পেজ খুঁজে পায়।
ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ভালো হয়। মানুষ রিলেটেড কনটেন্ট সহজে পায়।
বাউন্স রেট কমে। মানুষ এক পেজে এসে চলে না যায়, অন্য পেজও ভিজিট করে।
ইন্টারনাল লিংকিং করার স্মার্ট উপায়:
কন্টেক্সচুয়াল লিংক সবচেয়ে ভালো: কনটেন্টের মধ্যে যেখানে রিলেভেন্ট সেখানে লিংক দিন। সাইডবার বা ফুটার লিংকের চেয়ে কনটেন্ট লিংক বেশি ভ্যালুয়েবল।
অ্যাঙ্কর টেক্সট অপটিমাইজ করুন: “এখানে ক্লিক করুন” বলবেন না। বরং ডেসক্রিপটিভ অ্যাঙ্কর টেক্সট ব্যবহার করুন।
খারাপ: “আমার এই পোস্টটি পড়ুন” ভালো: “কীওয়ার্ড রিসার্চ করার সম্পূর্ণ গাইড দেখুন”
নতুন পোস্টকে পুরনো পোস্টে লিংক করুন: নতুন পোস্ট পাবলিশ করার পর, রিলেটেড পুরনো পোস্টগুলো খুঁজে বের করুন এবং সেখানে নতুন পোস্টের লিংক যোগ করুন।
পিলার-ক্লাস্টার মডেল ব্যবহার করুন: একটি মেইন পিলার পেজ তৈরি করুন (বিস্তারিত গাইড) এবং সেখান থেকে সম্পর্কিত ছোট পোস্টগুলোতে লিংক করুন।
ডীপ লিংকিং করুন: শুধু হোমপেজে লিংক না করে গভীরের পেজগুলোতেও লিংক করুন।
ব্রোকেন লিংক এড়িয়ে চলুন: নিয়মিত চেক করুন কোনো মরা লিংক আছে কিনা। Broken Link Checker প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন।

এক্সটার্নাল লিংকিং এর ভূমিকা
বাইরের ওয়েবসাইটে লিংক করাকে বলে এক্সটার্নাল লিংক। অনেকে ভয় পায় যে এতে ভিজিটর চলে যাবে, কিন্তু আসলে এটি SEO এর জন্য ভালো।
এক্সটার্নাল লিংক কেন করবেন?
আপনার কনটেন্টের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে। যখন আপনি অথরিটি সোর্সকে রেফারেন্স দেন, মানুষ আপনাকে বিশ্বাস করে।
গুগলকে টপিক বুঝতে সাহায্য করে। আপনি কোন ধরনের সাইটে লিংক করছেন তা দেখে গুগল আপনার নিশ বোঝে।
নেটওয়ার্কিং সুযোগ তৈরি হয়। যাদের সাইটে লিংক দিচ্ছেন তারা জানতে পারলে আপনার সাথে কানেক্ট হতে পারে।
এক্সটার্নাল লিংক করার নিয়ম:
শুধু হাই-কোয়ালিটি, অথরিটেটিভ সাইটে লিংক করুন। Wikipedia, সরকারি সাইট, বড় পাবলিকেশন এগুলো নিরাপদ।
স্প্যামি বা নিম্নমানের সাইট এড়িয়ে চলুন। এতে আপনার নিজের সাইটের ক্ষতি হতে পারে।
New tab এ খোলার সেটিং করুন। যাতে ভিজিটর আপনার সাইট ছেড়ে না যায়।
প্রয়োজনে nofollow ব্যবহার করুন। যদি এমন সাইটে লিংক করতে হয় যেটাকে এনডোর্স করতে চান না।
টেকনিক্যাল এসইও: পেজ স্পিড ও মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন
Page Loading Speed বাড়ানোর কার্যকর উপায়
পেজ স্পিড এখন গুগলের অফিশিয়াল র্যাংকিং ফ্যাক্টর। Google PageSpeed Insights এর ডেটা অনুযায়ী, পেজ লোড টাইম ১ সেকেন্ড থেকে ৩ সেকেন্ড হলে বাউন্স রেট ৩২% বৃদ্ধি পায়।
পেজ স্পিড বাড়ানোর প্র্যাক্টিক্যাল টেকনিক:
ইমেজ অপটিমাইজেশন – নাম্বার ওয়ান প্রায়োরিটি: ইমেজ সাধারণত পেজের ৫০-৬০% সাইজ নেয়। WebP ফরম্যাট ব্যবহার করুন, এটি JPEG থেকে ৩০% ছোট কিন্তু একই কোয়ালিটি। TinyPNG বা ShortPixel দিয়ে কম্প্রেস করুন আপলোডের আগে।
ক্যাশিং সেটআপ করুন: ব্রাউজার ক্যাশিং এনাবেল করলে রিপিট ভিজিটরদের জন্য পেজ দ্রুত লোড হয়। WordPress এ WP Super Cache বা W3 Total Cache প্লাগইন ব্যবহার করুন। ক্যাশিং একবার সেটআপ করলে স্পিড ৫০-৭০% বাড়তে পারে।
CDN ব্যবহার করুন: Content Delivery Network আপনার কনটেন্ট বিশ্বের বিভিন্ন সার্ভারে রাখে। ভিজিটর যেখান থেকেই আসুক, তার কাছের সার্ভার থেকে কনটেন্ট লোড হয়। Cloudflare এর ফ্রি CDN ভালো কাজ করে।
CSS, JavaScript মিনিফাই করুন: কোডে অপ্রয়োজনীয় স্পেস, কমেন্ট বাদ দিয়ে ফাইল সাইজ কমান। Autoptimize প্লাগইন অটোমেটিক এই কাজ করে দেয়।
হোস্টিং আপগ্রেড করুন: শেয়ার্ড হোস্টিং স্লো হতে পারে। ট্রাফিক বাড়লে VPS বা ক্লাউড হোস্টিং নিন। SSD স্টোরেজ ওয়ালা হোস্টিং দ্রুত কাজ করে।
HTTP/2 এনাবেল করুন: HTTP/2 একসাথে অনেক রিকোয়েস্ট হ্যান্ডল করতে পারে। বেশিরভাগ মডার্ন হোস্টিংয়ে এটা ডিফল্ট থাকে।
লেজি লোডিং ইমপ্লিমেন্ট করুন: স্ক্রিনে যা দেখা যাচ্ছে শুধু তাই লোড হবে, নিচের কনটেন্ট পরে লোড হবে। WordPress 5.5+ এ বিল্ট-ইন আছে।
স্পিড টেস্ট টুলস:
- Google PageSpeed Insights: Core Web Vitals দেখায়
- GTmetrix: বিস্তারিত রিপোর্ট এবং রেকমেন্ডেশন
- Pingdom: সিম্পল এবং দ্রুত টেস্ট
আদর্শ লোডিং টাইম ২-৩ সেকেন্ড। যদি ৫ সেকেন্ডের বেশি হয় তাহলে সিরিয়াসলি অপটিমাইজেশন দরকার।
মোবাইল রেসপন্সিভ ডিজাইনের গুরুত্ব
২০২৫ সালে মোবাইল ট্রাফিক মোট ইন্টারনেট ট্রাফিকের ৬০% এর বেশি। Google এখন Mobile-First Indexing করে, মানে আপনার ডেস্কটপ ভার্সন নয়, মোবাইল ভার্সন দেখেই র্যাংক নির্ধারণ করে।
মোবাইল ফ্রেন্ডলি সাইট তৈরির চেকলিস্ট:
রেসপন্সিভ থিম বাধ্যতামূলক: এমন থিম ব্যবহার করুন যা অটোমেটিক সব ডিভাইসে এডজাস্ট হয়। ওয়ার্ডপ্রেসের GeneratePress, Astra দুর্দান্ত রেসপন্সিভ থিম।
টাচ-ফ্রেন্ডলি এলিমেন্ট: বাটন, লিংক যথেষ্ট বড় হতে হবে যাতে আঙুল দিয়ে ট্যাপ করা সহজ। মিনিমাম ৪৮x৪৮ পিক্সেল রাখুন।
ফন্ট সাইজ পর্যাপ্ত: মোবাইলে কমপক্ষে ১৬px ফন্ট সাইজ ব্যবহার করুন। ছোট টেক্সট পড়তে কষ্ট হয়, মানুষ চলে যায়।
পপআপ সীমিত রাখুন: মোবাইলে ফুল স্ক্রিন পপআপ গুগল পছন্দ করে না। যদি দিতেই হয়, সহজে ক্লোজ করা যায় এমন দিন।
ভিউপোর্ট সেট করুন: HTML head এ viewport meta tag থাকতে হবে:
html
<meta name=”viewport“ content=”width=device-width, initial-scale=1.0“>
মোবাইল স্পিড প্রায়োরিটি: মোবাইলে ইন্টারনেট স্পিড কম হতে পারে। তাই মোবাইল স্পিড আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
টেস্ট করুন: Google Mobile-Friendly Test টুল দিয়ে চেক করুন। আপনার সাইট মোবাইলে কেমন দেখাচ্ছে নিজে মোবাইলে চেক করুন।

স্কিমা মার্কআপ, Alt টেক্সট এবং অ্যাডভান্সড অপ্টিমাইজেশন
Schema Markup কি এবং কিভাবে ব্যবহার করবেন
Schema Markup হলো একটি স্ট্রাকচার্ড ডেটা ভোকাবুলারি যা সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার কনটেন্ট আরো ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে। এটি ব্যবহার করলে SERP এ Rich Results দেখায়।
Schema Markup এর প্রকৃত শক্তি:
Schema থাকলে আপনার রেজাল্ট আরো আকর্ষণীয় দেখায় – Star ratings, Price, Author photo, Cooking time ইত্যাদি দেখায়। এতে CTR ৩০-৪০% বৃদ্ধি পেতে পারে।
Google Assistant, Alexa এসব ভয়েস সার্চ Schema data ব্যবহার করে। ভবিষ্যতে এটি আরো গুরুত্বপূর্ণ হবে।
Featured Snippet পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। Schema থাকলে Google আপনার কনটেন্ট সহজে বোঝে এবং Featured Snippet এ দেখাতে পারে।
জনপ্রিয় Schema Types ও ব্যবহার:
Article Schema: ব্লগ পোস্টের জন্য। Headline, Author, Date Published, Featured Image এই তথ্যগুলো দেয়।
Product Schema: ই-কমার্স সাইটের জন্য। Product name, Price, Availability, Ratings দেখায়।
Recipe Schema: রেসিপি ব্লগের জন্য অসাধারণ। Cooking time, Calories, Ingredients, Ratings সব দেখায়।
FAQ Schema: প্রশ্ন-উত্তর সরাসরি সার্চ রেজাল্টে দেখায়। অনেক জায়গা দখল করে, CTR বাড়ায়।
How-to Schema: Step by step tutorial এর জন্য। প্রতিটি ধাপ ইমেজ সহ দেখায়।
Local Business Schema: লোকাল ব্যবসার জন্য। Address, Phone, Opening hours দেখায়।
Schema যোগ করার সবচেয়ে সহজ উপায়:
WordPress এ Rank Math বা Yoast SEO Premium ব্যবহার করুন। এগুলো অটোমেটিক Schema যোগ করে। শুধু সেটিংসে গিয়ে এনাবেল করুন।
ম্যানুয়ালি করতে চাইলে Google’s Structured Data Markup Helper ব্যবহার করুন। আপনার পেজ URL দিন, টাইপ সিলেক্ট করুন, তারপর এলিমেন্ট ট্যাগ করুন। এটি JSON-LD কোড জেনারেট করবে।
Schema টেস্ট করা: Rich Results Test (search.google.com/test/rich-results) দিয়ে চেক করুন আপনার Schema সঠিকভাবে implement হয়েছে কিনা। Error থাকলে ফিক্স করুন।
Image Alt Text অপ্টিমাইজেশনের সঠিক পদ্ধতি
Alt text (Alternative Text) হলো ইমেজের একটি টেক্সচুয়াল বর্ণনা। এটি accessibility এবং SEO দুটোর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
Alt Text কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা স্ক্রিন রিডার ব্যবহার করে। Alt text না থাকলে তারা বুঝতে পারে না ইমেজে কী আছে।
ইমেজ লোড না হলে Alt text দেখায়। স্লো কানেকশনে বা ব্রোকেন ইমেজে এটি কাজে আসে।
Google Image Search থেকে ট্রাফিক পাবেন। সঠিক Alt text থাকলে আপনার ইমেজ image search এ র্যাংক করবে।
SEO সিগন্যাল হিসেবে কাজ করে। Google ইমেজ দেখতে পারে না, Alt text পড়ে বোঝে।
পারফেক্ট Alt Text লেখার টেকনিক:
ডেসক্রিপটিভ এবং স্পেসিফিক হন: খারাপ: “image” মাঝারি: “মোবাইল” ভালো: “স্যামসাং গ্যালাক্সি S24 স্মার্টফোন সিলভার কালার”
কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন স্বাভাবিকভাবে: আপনার টার্গেট কীওয়ার্ড বা রিলেটেড কীওয়ার্ড Alt text এ থাকলে ভালো। কিন্তু keyword stuffing করবেন না।
খারাপ: “অন পেজ এসইও অন পেজ এসইও টিপস এসইও গাইড” ভালো: “অন পেজ এসইও চেকলিস্ট ইনফোগ্রাফিক ২০২৫”
সংক্ষিপ্ত রাখুন: ১২৫ ক্যারেক্টার বা তার কম। বেশি হলে স্ক্রিন রিডার কেটে দেয়।
“ছবি”, “ইমেজ” লেখার দরকার নেই: খারাপ: “একটি ছবি যেখানে অন পেজ এসইও দেখানো হয়েছে” ভালো: “অন পেজ এসইও প্রসেস ডায়াগ্রাম”
প্রতিটি ইমেজে ইউনিক Alt text: একই Alt text সব জায়গায় ব্যবহার করবেন না। প্রতিটি ইমেজ আলাদা, তাই বর্ণনাও আলাদা হতে হবে।
ডেকোরেটিভ ইমেজ স্কিপ করুন: যদি ইমেজ শুধুই ডিজাইনের জন্য হয় (কোনো তথ্যমূলক value নেই), তাহলে খালি Alt attribute রাখুন: alt=””

ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (UX) এবং কনটেন্ট রিডেবিলিটি উন্নতির উপায়
User Experience (UX) উন্নত করার কৌশল
Google এর John Mueller বলেছেন, “User experience is a ranking factor.” ভালো UX মানে low bounce rate, high dwell time, এবং ultimately better rankings।
UX উন্নতির প্রমাণিত কৌশল:
ইনটুইটিভ নেভিগেশন: মানুষ যেন ২-৩ ক্লিকেই যা খুঁজছে তা পায়। মেনু সহজ এবং লজিক্যাল রাখুন। Mega menu ব্যবহার করতে পারেন বেশি option এর জন্য। Breadcrumbs navigation যোগ করুন যাতে ইউজার জানে সে কোথায় আছে।
ভিজ্যুয়াল হায়ারার্কি: সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলিমেন্ট সবচেয়ে বড় এবং eye-catching হতে হবে। Color, size, spacing দিয়ে importance দেখান।
হোয়াইট স্পেস ব্যবহার: সব জায়গা ভরে ফেলবেন না। প্রচুর white space থাকলে কনটেন্ট breathe করতে পারে, পড়তে সুবিধা হয়।
কনসিস্টেন্ট ডিজাইন: পুরো সাইটে একই color scheme, font, button style ব্যবহার করুন। Consistency trust তৈরি করে।
ক্লিয়ার CTA (Call-to-Action): ইউজার কী করবে তা স্পষ্ট করুন। “আরো পড়ুন”, “ডাউনলোড করুন”, “শুরু করুন” – এমন clear instruction দিন।
ফাস্ট লোডিং: আগেই আলোচনা করেছি। ৩ সেকেন্ডের বেশি হলে মানুষ চলে যায়।
মোবাইল ফার্স্ট: ডিজাইন করার সময় প্রথমে মোবাইলের কথা ভাবুন, তারপর ডেস্কটপ।
এরর ম্যানেজমেন্ট: 404 পেজ হলে helpful 404 page দেখান যেখানে হোমপেজ, পপুলার পোস্টের লিংক থাকবে।
Content Readability বাড়ানোর টিপস
Readability মানে আপনার কনটেন্ট কত সহজে পড়া যায়। Flesch Reading Ease score 60-70 হলে ভালো, ৮০+ হলে excellent।
Readability উন্নতির প্র্যাক্টিক্যাল টিপস:
ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ: প্রতিটি প্যারাগ্রাফ ২-৪ লাইনের মধ্যে রাখুন। বড় text blocks মানুষ skip করে দেয়। মোবাইলে বড় প্যারা পড়া আরো কঠিন।
সহজ বাক্য গঠন: জটিল, লম্বা বাক্য এড়িয়ে চলুন। একটি বাক্যে একটি আইডিয়া রাখুন। ২০-২৫ শব্দের বেশি বাক্য না লেখাই ভালো।
সাবহেডিং দিয়ে ভাগ করুন: প্রতি ৩০০-৫০০ শব্দে একটি সাবহেডিং দিন। মানুষ প্রথমে হেডিং স্ক্যান করে, তারপর আগ্রহ হলে বিস্তারিত পড়ে।
বুলেট পয়েন্ট ও নাম্বারিং: তালিকা তৈরি করলে information digest করা সহজ। চোখে দ্রুত পড়ে এবং মনে রাখা সহজ।
সহজ ভাষা ব্যবহার: একাডেমিক বা জটিল শব্দ এড়িয়ে চলুন। এমনভাবে লিখুন যেন ১২-১৪ বছরের কেউও বুঝতে পারে।
Active Voice প্রাধান্য: Passive voice এর চেয়ে active voice শক্তিশালী এবং সরাসরি।
খারাপ: “পোস্টটি লেখা হয়েছে আমার দ্বারা” ভালো: “আমি পোস্টটি লিখেছি”
Transition Words: “তাছাড়া”, “যাইহোক”, “উদাহরণস্বরূপ”, “ফলস্বরূপ” – এসব শব্দ sentences এর মধ্যে flow তৈরি করে।
Visual Breaks: শুধু টেক্সট নয়, ইমেজ, ইনফোগ্রাফিক, quotes, tables দিয়ে variety আনুন।
Readability Test Tools:
- Hemingway Editor: আপনার লেখা কত grade level এ পড়া যায় তা দেখায়
- Yoast SEO: Readability analysis দেয়
- Grammarly: Grammar ও readability চেক করে
উপসংহার
অভিনন্দন! আপনি এইমাত্র অন পেজ এসইও এর একটি কমপ্লিট গাইড পড়লেন। এখানে আমরা কভার করেছি কীওয়ার্ড রিসার্চ থেকে শুরু করে টেকনিক্যাল অপটিমাইজেশন, মেটা ট্যাগ থেকে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স – সবকিছু।
মনে রাখবেন, অন পেজ এসইও কোনো one-time কাজ নয়। এটি একটি চলমান প্রসেস। গুগলের অ্যালগরিদম ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে, নতুন আপডেট আসছে, তাই আপনাকেও আপডেট থাকতে হবে।
আমার পরামর্শ হলো – প্রথমে basics মাস্টার করুন। কীওয়ার্ড রিসার্চ, quality content, meta tags এগুলো দিয়ে শুরু করুন। তারপর ধীরে ধীরে advanced techniques যেমন schema markup, core web vitals এগুলো implement করুন।
আপনি যদি এই গাইডে উল্লেখিত strategies apply করেন, আমি নিশ্চিত আপনার ওয়েবসাইটে organic traffic বৃদ্ধি পাবে এবং Google rankings improve হবে।
Remember, SEO একটি marathon, sprint নয়। Keep learning, keep optimizing, এবং ফলাফল আসবেই।
